ইউথ এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড স্কিলস ওয়ার্কশপ (ইয়েস!+)

আমার পক্ষে কি একই সাথে পেশায় সাফল্য এবং পরিপূর্ণ ব্যক্তিগত জীবনযাপন সম্ভব?

ব্যক্তির সার্বিক চমৎকারিত্বের বিকাশের উদ্দেশ্যে সুনির্দিষ্টভাবে ছাত্রছাত্রী এবং তরুণ পেশাদার ব্যক্তিবর্গের জন্য ইয়েস!+ একটি শক্তিশালী জীবনীশক্তি উদ্বুদ্ধকারী কর্মসূচী রূপে পরিকল্পিত হযেছে৷

এটি সুপ্রাচীন জ্ঞান, যোগসাধনা, প্রাণায়াম (শ্বাস নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া), ধ্যান এবং সুদর্শন ক্রিয়ার একটি মসৃণ বা সরলীকৃত মিশ্রণ , যা সমসাময়িক প্রাজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের দ্বারা সমন্বিত হয়েছে৷ এই কর্মশালা আপনার মধ্যে নিহিত শক্তিকে নিশ্চিত করে৷ ইয়েস!+ হল এমনই এক কোর্স যা অনুষ্ঠিত হয় পৃথিবীর বিভিন্ন অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠানে৷

ব্যক্তিজীবন ও পেশাগত জীবনের মধ্যে সংঘাতের পরিবর্তে এই দুই জীবনের মধ্যে সুষম মিশ্রণ বা সমন্বয়ের একটি সরল গণিত হল-

১. তীক্ষ্ণতর মনোযোগ = দিনের মধ্যে বেশীক্ষণ সময়

কোন বিশেষ প্রকল্পের কাজ অথবা পড়াশোনা একেবারে না করার চেয়ে বারে বারে করা যায়; উদ্বেগের সাথে কিন্তু মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুও সরে আসে৷প্রতিদিন সময়ের সীমাবদ্ধতা অনুভব করা যায়৷ এর ফলে অনেক ক্ষেত্রে কর্মক্ষমতা এমনকি পঞ্চাশ শতাংশ অবধি হ্রাস পেতে পারে৷সময় হল অর্থ এবং আপনি দুটোই পেতে পারেন শুধুমাত্র যখন আপনি এক শান্ত ও কেন্দ্রীভূত মনের অধিকারী হন৷ ইয়েস!+ কৌশলগুলি হল সময় এবং অর্থ দুইই লাভ করার এক সহজ পন্থা৷ যখন আপনি কোন সিনেমা অথবা দূরদর্শনে সম্প্রচারিত ধারাবাহিক কাহিনীচিত্র দেখেন তখন আড়াইঘন্টা ধরে আপনি সিনেমা অথবা দূরদর্শনের পর্দায় যেন আঠার মতো সেঁটে থাকেন৷ একই রকম মনোযোগ কীভাবে আপনার পড়াশোনা অথবা কাজের মধ্যে আনা যায়?

২. শক্তির উন্নতিসাধন = দ্বিধাহীন আত্মবিশ্বাস৷

যখন আমরা আমাদের নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে সন্দিহান হই সেই সময় নিজের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব এবং কর্মক্ষেত্রে ভীতি দেখা যায়৷ হয় আমি নিজেকে বিশ্বাস করি (আত্মবিশ্বাস) অথবা আমি নিজেকে কাজটি করতে প্রস্তুত মনে করছি না (সন্দেহ)৷ সন্দেহ হল কম আত্মশক্তির পরিচায়ক৷ কর্মদক্ষতা শক্তির মাত্রাকে উচ্চ রাখে৷ ইয়েস!+ নামক কর্মশালায় শেখানো শক্তিশালী শ্বাস নিয়ন্ত্রণ কৌশল আপনার মধ্যে উচ্চমানের শক্তি পরিপূর্ণিত করবে ও নিঃসংশয় আত্মবিশ্বাস দান করে আপনার অপ্রয়োজনীয় সংশয় ধ্বংস করবে৷

৩. নির্মল এবং প্রাণজুড়ানো সহজবোধ্য ব্যাখ্যার সাহায্যে সহজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ

বলা সহজ, “রাগ করো না, ঈর্ষান্বিত হয়ো না, ইত্যাদি”৷ কিন্তু কিভাবে? সবার উপরে, কোন পরিস্থিতিতে যখন আমরা এই সিদ্ধান্ত নিই, কীভাবে সেই সিদ্ধান্ত সঠিক বলে মনে করি? প্রাত্যহিক সুদর্শন ক্রিয়ার চাপ দূর করে মনকে বিশৃংখলামুক্ত করা প্রয়োজন৷ এই ভাবে আমরা বিষয়গুলির প্রকৃত রূপ বুঝতে পারি এবং আত্মজ্ঞান দ্বারা সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি৷